ফাইলেরিয়া ও প্রাথমিক চিকিৎসা

ফাইলেরিয়া ?



উচেরেরিয়া ব্যানক্রফটি নামক জীবানু এই রোগের জন্য দায়ী। মূলত কিউলেক্স মশার কামড়ে এই জীবাণু মানুষের শরীরে প্রবেশ করে তবে অ্যানোফেলিস ও এডিস মশার কামড়ে ও এই পরজীবীর জীবাণু মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে।
লক্ষনঃ
প্রথমে অল্প মাত্রার জর সেই সাথে লিম্ফ নালী বরাবর ব্যাথা এবং লাল হয়ে যাওয়া। কিছুদিন পরে আক্রান্ত অঙ্গ ফুলে যায় এবং এটা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে যা এক সময় বিশাল আকৃতি ধারণ করতে পারে। সাধারণত পা, অন্ডকোষ সহ অন্যান্য অঙ্গ ও এতে আক্রান্ত হতে পারে। মেয়েদের ক্ষেত্রে স্তনের চামড়া ফুলে পুরু হয়ে খসখসে হয়ে উঠে। দেখতে হাতির চামড়ার মত মনে হয় বলে গোদ রোগের অন্য নাম এলিফ্যানটিয়াসিস।
পরীক্ষাঃ
রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে সরাসরি অথবা লিম্ফ নোড কালচার করে এর জীবানু নিশ্চিত করা যায়।
চিকিৎসাঃ
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডাইইথাইল কার্বামাজেপিন নামক ঔষুধ সেবন করতে হয়। ২ বছরের কম শিশুদের ও গর্ভবতী মহিলাদের এই ঔষধ সেবন করা যাবে না।
প্রতিরোধঃ
মশা নিধন করতে হবে, ঘুমানোর সময় মশারী ব্যবহার করা উচিত।

No comments

Powered by Blogger.